বুড়িগঙ্গার চোখে জল।
- ইকবাল হোসেন বাল্মীকি - ঝং ধরা ডায়েরীতে মিথ্যা গোলাপ। (অপ্রকাশিত কাব্য।) ১৯-০৫-২০২৪

বুড়িগঙ্গার চোখে জল -০১
-----------------------------------।
আমি মরবো মুড়ক লাগিয়ে
কবিদের গায়ে সিজ্জিনের আগুন জ্বেলে
তখন তারা দৌড়ে এসে বলবে মাগো পোড়ে যাচ্ছি আমাদের বাঁচাও
তখন কোরবানীর চামড়ার খুসবাই দিয়ে তাদের বাতাস দেব, সুপ রেধে দেব।
দুই লাখ বজ্জাত ঢাকায় বসে কবিতার চুল ছিড়চে আমার ‘ছারখাতের’ সময়।

বুড়িগঙ্গা চোখে জল- ০২।
------------------------------------------

নদী কে প্রনাম করা জনপদে মুড় নিয়ে ঢাকেশ্বরীর পাশ দিয়ে
এসেছি এই বংগজ তিলোত্তমায়র তিলকের তৃষ্ণা মেটাতে-
কি দেই নি তোমাদের-
-------------জলের জীবন, ইস্টিমার,পাল তোলা নাও
-------------গাভীন রাত্রির ভাটিয়ালী, কুমারীর স্নান
------------ শক্ত মাটির ভিটা,ঝিল, প্রশাখার বিস্তার

তোমরা কি না ভাসাও-
-------------- বস্তা বন্ধী লাশ, মৃত পশুর অণুজীব
----------------গুম খুন ক্ষধা ইত্যাদির দিন লিপি
---------------ট্রাকের মুত্র, জিঞ্জিরার জাঙ্গাল, অ্যাসিড।



বুড়িগঙ্গার চোখে জল -০৩।
------------------------------------------------

‘বুড়িগঙ্গা রক্ষা কমিটি’ কবিতার মতো নাম পরকীয়া নারীর সঙ্গ
স্বামী দেবতা অফিসে ব্যস্থ মাল আর মালতির কেন্দ্র বিন্দুতে
তাই অবসরে হারমনি এস্রাজ সিতারা আর বুড়িগঙ্গা বাচাও কুর্দন।
ডাবল পেগ হুইস্কি খেয়ে কুমিরের চোখে জলের বানিজ্য বেসাতী।

বুডিগঙ্গার চোখে জল-০৪।
----------------------------------------------

সচিব সাহেব ক্রেঙ্কটা ভাড়া করে আনা। নদী ভরাটের কাজ। সই দাও
মাল লাগে মাল খাও-
-------------সাত তাঁরা হোটেল বানাবো
--------------বিরাষ্ট্রিয়করন চাপ্টার ভালো করে পড়ুন
--------------অধ্যাদেশ জারি করেছেন আপোষহীন জাতীয় সংসদ
--------------ঋণ এনেছি- নদী ভাসুর যার সেই দেশ থেকে
--------------বুড়িগঙ্গা একটা খাল হলেও ক্ষতি নেই
--------------ব্যাবির নেপকিন, ম‍্যাডামের পেড বহনের একটা ড্রেন হলে,চলে।

মাওয়ার ভাটিতে জাহাজ এলেই খালাসিরা ট্রেনে তুলে দেবে। রেল লাইনের কাজ চলেছ।
দুটো রাড়ি কুত্তি নদীর জলে হাও মাও করে হাসে, নদীর সব জল খেলেও তৃষ্ণা মরেনা।

বুডিগঙ্গার চোখে জল-০৫।
------------------------------------------

নদী বিশেষজ্ঞ সরদার জ্ঞানেন্দ্র নারায়ন ওরফে কামিলি ওয়ালা সেমিনারের সভাপতি।
ইঞ্জিনিয়ারং ইনিস্টিটিউট, তিন হাজার পাতার সন্দর্ভ পাঠ করেন সরকারি মাসীমা -

নদী মানে--
-------দশ লক্ষ বছর আগে কোনো এক দিনে তিনি পুয়াতি হয়েছিলেন গঙ্গারাজ দ্বারা
-------লজ্বার এই গল্প ‘ মহাভারতে কূরু কলঙ্ক হইয়া বিরাজে”
-------বর্তমান এই সরকার তার’ই পুত্র মহামহিম ভীষ্ম। চিন্তা কীসের। মা রাক্ষা পাবেন।
অতপর তার কি কান্না-
-------------হায়রে মাছের মায়ের পুত্র শোক
------------আলকাতরা গলে পড়ে চোখ থেকে
------------নর্দমা ভর্তি ঘন তিক তিকে মৃত্যু শিল্পের বিপ্লবের জন্য তিনি পান করতে বলেন।


(১৫/২/১৯৯৮ ঢাকা। ঝংধরা ডায়েরীতে মিথ্যা গোলাপ।
অপ্রকাশিত কাব্য।)

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।